৯৬ বছর বয়সে পরীক্ষায় বসে ১০০-তে ৯৮ পেয়ে গড়লেন ইতিহাস
তিরুবনন্তপুরম: শেখার কোনও বয়স নেই। সেটা আরও একবার প্রমাণিত হল। ৯৬ বছরে পড়াশোনা শুরু করে কেরলের কার্তিয়ানি আম্মা ৯৮ শতাংশ নম্বর পেয়ে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন সকলকে। কেরলের ৯৬ বছর বয়সী ঠাকুমাই এখন টপ অফ দ্য টাউন।
কেরলের আলপ্পুঝার জেলার মাত্তম গ্রামের বাসিন্দা কার্তিয়ানি আম্মা কৃষ্ণাপিল্লা। ছোটো বয়সেই অভাবের তাড়নায় স্কুলছুট হয়েছিলেন। স্বামী মারা যাওয়ার পর পরিচারিকার কাজ করতে হয়েছে তাঁকে। ৬ ছেলে-মেয়েকে মানুষ করেছেন ঝাড়ুদার হিসাবে কাজে করে।
সরকারি উদ্যোগে সাক্ষরতা মিশনের ‘অক্ষরালক্ষম’ প্রকল্পের মাধ্যমে পড়াশোনা শুরু করেন। তারই চতুর্থ শ্রেণির সমতুল্য পরীক্ষায় প্রথম হলেন কার্তিয়ানি আম্মা। ১০০ নম্বরের মধ্যে ৯৮ পেয়ে প্রথম হয়েছেন তিনি। ১ নভেম্বর তাঁর হাতে মেরিট সার্টিফিকেট তুলে দেবেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন।
প্রথম হয়ে ৯৬ বছরের ঠাকুমা তো একেবারে আপ্লুত ৷ খুশি হয়ে তিনি বলেন, আমি ভালো নম্বর পেয়ে খুশি। আমি এখন জানি কীভাবে লিখতে, পড়তে ও অঙ্ক কষতে হয়। আমাদের সময়ে মহিলারা স্কুলে যেত না। যখন ২০১৬ সালে আমার ছোট মেয়ে আম্মিনিয়াম্মা দশম শ্রেণির পরীক্ষায় পাশ করে, তখনই আমি এটাকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিই। এই মুহূর্তে নতুন ক্লাসে ওঠার প্রস্তুতি নিচ্ছেন তিনি। কার্তিয়ানি আম্মা ঠিক করেছেন ১০০ বছর বয়সে মাধ্যমিক দেবেন।
প্রসঙ্গত, এই বছরের ২৬ জানুয়ারি প্রজাতন্ত্র দিবসের দিন ‘অক্ষরলক্ষম’ সাক্ষরতা প্রকল্প। ১০০ শতাংশ সাক্ষরতার লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতেই এই প্রকল্পের পরিকল্পনা। ৪৩,৩৩০ জন ছাত্র-ছাত্রী চতুর্থ, সপ্তম, দশম, একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির সমতূল্য পরীক্ষা দেয়। ৪২,৯৩৩ জন পাশ করেছেন। পাশের হার ৯৯.০৮ শতাংশ।