নয় বছরের ভারতীয় শিশু জয় করল আফ্রিকার সর্বোচ্চ শৃঙ্গ মাউন্ট কিলিমানজারো
পুনে: নয় বছরের অনেক শিশুর কাছে মাউন্ট কিলিমানজারোর নামটাই অজানা। কিন্তু পুনের আদভাইত ভারতিয়া মাত্র নয় বছর বয়সেই আফ্রিকার সর্বোচ্চ শৃঙ্গ মাউন্ট কিলিমানজারো জয় করে ফেলল। আফ্রিকা মহাদেশের তানজানিয়ায় অবস্থিত এই পর্বত সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১৯ হাজার ৩৪১ ফুট উঁচু। আদভাইতের পর্বত জয়ের নেশা ছিল ছোট থেকেই। এর আগে মাত্র ছয় বছর বয়সে মাউন্ট এভারেস্টের বেস ক্যাম্প পর্যন্ত পৌঁছে গিয়েছিল আদভাইত।
কিলিমানজারো জয়ের পর অনুভূতি জানাতে গিয়ে আদভাইত বলেছে, কিলিমানজারোতে ট্রেকিং করা খুবই কঠিন কাজ ছিল, কিন্তু একই সঙ্গে অনেক মজাও হয়েছে। এভারেস্টের বেস ক্যাম্পে তাও কাঠের ঘরে থাকতে পেরেছিলাম, কিলিমানজারোতে কেবল তাঁবুতে রাত কাটাতে হয়েছে। চারপাশে বরফ আর বরফ, এর মধ্যে তাঁবুতে সারা রাত! অভিজ্ঞতাটা দারুণ ছিল।
মাইনাস ২১ থেকে ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস ঠান্ডা। তার উপর অক্সিজেনের অভাব। তবে কোনওটাই যেন দমিয়ে দিতে পারেনি আদভাইতকে। এত অল্প বয়সে কিলিমানজারো জয় করতে গিয়ে ভয় তো দূরের কথা, আদভাইতের দাবি, চাইলে আরও আগেই এই পর্বতের চূড়ায় উঠতে পারত সে! আদভাইতের দাবি, আমি আরও আগেই ট্রেকিং শেষ করতে পারতাম। কিন্তু পর্বতটা এত সুন্দর, আমি সেই সৌন্দর্য উপভোগ করতে করতে চূড়ায় উঠেছি।
আদভাইতের মা পায়েল ভারতিয়া জানিয়েছেন, কিলিমানজারো জয়ের জন্য দুই মাস ধরে কঠিন প্রস্তুতি নিয়েছে তার ছেলে। পায়েল বলেছেন, দুই মাস ধরে ও প্রতিদিন এক ঘণ্টা করে সাঁতার কাটত, ফুটবল, ক্রিকেট কিংবা টেনিস খেলে কার্ডিওভাস্কুলার ট্রেনিং করত, ১০০ সিঁড়ি ওঠানামা করত ও পার্কার (এক ধরনের সামরিক অনুশীলন) অনুশীলন করেছে।
ছেলের সঙ্গে পর্বতাভিযানে গিয়েছিলেন মা-ও। কিন্তু আদভাইতের মা পারেননি এই প্রতিকূল পরিস্থিতিতে শৃঙ্গ পর্যন্ত পৌঁছতে। অথচ বয়সকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে আদভাইত পৌঁছে যায় পর্বত চূড়ায়। ছেলের এমন কীর্তিতে দারুণ গর্বিত মা পায়েল। তিনি বলেন, যে নিষ্ঠা নিয়ে আদভাইত এই ট্রেকিং শেষ করেছে, আমি ওর জন্য ভীষণ গর্বিত।