করোনা পরিস্থিতিতে বিশ্বের অর্ধেক যুবক-যুবতীই উৎকণ্ঠা আর অবসাদে ভুগছেন
নয়াদিল্লি: প্রত্যেকের জীবনে ডিপ্রেশন বা মানসিক অবসাদ খুব সাধারণ বিষয়। তার উপর টানা লকডাউনের জেরে বিশ্বের অর্ধেক যুবক-যুবতীই উদ্বেগ আর অবসাদে ভুগছেন। আন্তর্জাতিক শ্রম সংগঠন আইএলও-র ‘ইয়ুথ অ্যান্ড কোভিড ইম্প্যাক্ট’ সমীক্ষা বলছে, করোনা পরিস্থিতিতে অনিশ্চিত ভবিষ্যতে তাদের কি হবে তা নিয়েই উদ্বেগে রয়েছেন প্রতি দু’জন যুবক-যুবতীর একজন।
তার সঙ্গে রয়েছে পারিবারিক সমস্যাও। নানান সমস্যা লেগে রয়েছেই। একটা চাপ কমলে অন্য একটি সমস্যা হাজির হয়। আর ক্রমাগত এই সমস্যা কাটিয়ে উঠার তাগিদ বা সমস্যার সম্মুখীন হওয়ার ফলে ডিপ্রেশন বা মানসিক অবসাদে ভুগছেন বিশ্বের অর্ধেক যুবক-যুবতীই।
মারণ করোনাভাইরাস সবারই জীবন তছনছ করে দিয়েছে। করোনার প্রকোপ শুরু হওয়া থেকেই চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছেন যুবক-যুবতীরা। ১৮ থেকে ২৯ বছরের মধ্যে যুবকদের মধ্যে এই সমীক্ষা চালায় আইএলও (ILO)। ১১২টি দেশের ১২ হাজার যুবক-যুবতীর উপর এই সমীক্ষা চালানো হয়। তাতে দেখা গিয়েছে, ইন্টারনেট সংযোগ রয়েছে এমন শিক্ষিত যুবকদের মধ্যেই এই প্রবণতা বাড়ছে। তাঁদের ১৭ শতাংশ উদ্বেগ বা অবসাদের শিকার।
মানসিক স্থিতি ১৮ থেকে ২৪ বছরের মধ্যে মহিলা ও কমবয়েসীদের মধ্যে সবথেকে কম। যাদের পড়াশোনা বন্ধ বা রোজগার হারিয়েছে, তাঁরাই বেশি অবসাদে ভুগছেন। যাদের পড়াশোনা বিঘ্নিত হচ্ছে তাঁদের ২২ শতাংশই অবসাদে ভুগছেন। ৩৮ শতাংশ তাদের কর্মসংস্থানের ভবিষ্যৎ নিয়ে গভীর হতাশায় ভুগছেন।
সমীক্ষায় বলা হয়েছে, অতিমারি শুরু হওয়ার পর থেকে প্রতি ৬ যুবকের ১ জন কাজ হারিয়েছেন। অনলাইন ক্লাসে যেতে পারছেন না, এমন গরিব ছাত্ররা বেশি অবসাদে ভুগছেন। ৫১ ভাগ মনে করছে তাদের পড়াশোনা বিঘ্নিত হবে, ৯ শতাংশ মনে করছে তাদের শিক্ষাজীবন শেষ হয়ে গিয়েছে। কাজ হারিয়েছেন ১৭ শতাংশ কর্মরত যুবক-যুবতী।


