Saturday, May 17, 2025
দেশ

পঞ্চমুখী দেবমূর্তি নিয়ে পায়ে হেঁটে কেদারনাথের পথে ৫ সন্ন্যাসী

লখনউ: কেদারনাথ মন্দিরের দরজা বছরের মধ্যে ৬ মাস খোলা থাকে। আর ৬ মাস বন্ধ থাকে। ২৯ এপ্রিল কেদারনাথ মন্দিরের দরজা খুলছে। তবে এবার করোনার জেরে লকডাউন, যার ফলে স্তব্ধ গোটা দেশ। এবছর মহামারি করোনা থামিয়ে দিয়েছে ভক্তদের ঢল। হিমালয় পর্বতমালায় ৩,৫৮৪ মিটার (১১,৭৫৯ ফিট) উচ্চতায় মন্দাকিনী নদীর তীরে অবস্থিত কেদারনাথ মন্দির। ১০ ফুট পুরু বরফে ঢাকা পাহাড়ি, দুর্গম পথ। প্রতিবছর ভক্তদের সুরক্ষিত ভাবে পৌঁছে দিতো কুমায়ুন ব্যাটিলিয়ান সেনাবাহিনি। তবে এবছর তার ব্যতিক্রম। তাই পঞ্চমুখী দেব বা বাবা কেদারনাথ (ভগবান শিব)-এর ডোলি স্বস্থানে পৌঁছে দেওয়ার উদ্দেশ্যে ২৭ এপ্রিল থেকে পায়ে হেঁটে চলেছেন ৫ সন্ন্যাসী।

ভক্তিতে অবিচল সন্ন্যাসীদের একটাই লক্ষ্য, আরাধ্য দেবতাকে নিয়ে নির্দিষ্ট সময়ে মন্দির প্রাঙ্গনে পৌঁছোনো। প্রতিবছর ২৭ এপ্রিল থেকে পঞ্চমুখী ডোলি যাত্রা শুরু হয়। প্রচুর ভক্ত, সন্ন্যাসী পালকিতে করে নিয়ে যান সেই ডোলি। তবে লকডাউনের জেরে এবার কেউ সেই যাত্রায় অংশ নিতে পারেননি। তবে দেবযাত্রা যাতে বন্ধ না থাকে তার জন্য পাঁচ সন্ন্যাসীই এবার কাঁধে তুলে নিয়েছেন পঞ্চমুখী দেবমূর্তি।

সৎপাল মহারাজ জানিয়েছেন, লকডাউনের বাধা এড়িয়ে আমরা এগোচ্ছি ঈশ্বরের ওপর অটল ভক্তির জোরে। একই সঙ্গে বহু যুগ ধরে মেনে চলা ঐতিহ্য পালনে। আশা করছি, প্রতিবছরের মতো চার মন্দিরের সমস্ত দরজা খোলা হবে মহামারির মধ্যেই।

উল্লেখ্য, হিমালয়ের তুষারাবৃত শৃঙ্গে অবস্থিত কেদারনাথ মন্দির হিন্দুদের অন্যতম প্রধান তীর্থস্থান। এই মন্দিরটি ছোট চার ধাম তীর্থ-চতুষ্টয়ের অন্যতম। পৌরাণিক রাজা কেদারের নামে কেদারনাথ শহরটি নামাঙ্কিত। কথিত আছে, তিনি সত্য যুগের রাজা ছিলেন। তাঁর রাজ্যের নাম ছিল কেদারখণ্ড। মহাভারতেও কেদারনাথের উল্লেখ আছে। পাণ্ডবরা এখানে শিবের তপস্যা করেছিলেন।