রেশন পাচ্ছেন না জলপাইগুড়ির তিন লাখ মানুষ
জলপাইগুড়ি: করোনা আবহে লকডাউনের জেরে গরিব মানুষের রোজগার বন্ধ। তাই কঠিন এই সময়ে তাঁদের ভরসা বিনামূল্যে রেশনের চাল-আটার উপরেই। রাজ্যের সমস্ত রেশন উপভোক্তাকে বিনামূল্য সুবিধা পাইয়ে দেবেন বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যের খাদ্য দফতর জানিয়েছিল, ডিজিটাল রেশন কার্ডের অধিকারী উপভোক্তাদের পাশাপাশি যারা ডিজিটাল কার্ডের জন্য আবেদন করেছেন তাদেরও বিনামূল্যে দেওয়া হবে রেশন। কিন্তু তারপরের রেশন বিলি নিয়ে রাজ্য জুড়ে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গা থেকে।
জলপাইগুড়ি জেলার প্রায় তিন লাখ মানুষের রেশন কার্ড ও সরকারি কুপন নেই। যার ফলে তাঁরা রাজ্যের রেশন এবং কেন্দ্রের বরাদ্দও পাচ্ছেন না। এত বিপুল সংখ্যক মানুষ কেন রেশনের তালিকায় নেই তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে প্রশাসনের অন্দরেই। রেশন কার্ড বা সরকারি কুপনের কোনওটাই না থাকায় সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন তাঁরা। তবে ঠিক কি করণে এমনটা ঘটল, সে বিষয়ে নিরুত্তর জেলা প্রশাসন ও খাদ্য দফতর।
গত লোকসভা নির্বাচনের ভোটার তালিকা অনুযায়ী, জলপাইগুড়ি জেলার এই মুহূর্তে লোকসংখ্যা আনুমানিক ২৮ লাখ। চলতি মাসে জেলা প্রশাসনের রিপোর্ট অনুযায়ী, জলপাইগুড়িতে মোট রেশন কার্ডের পরিমাণ সাড়ে ২৩ লাখের কাছাকাছি। এ ছাড়াও অনেকের নামে ডিজিটাল রেশন কার্ড অনুমোদন হয়েছে তবে তাঁরা এখনও সেই কার্ড হাতে পাননি এমন মানুষের সংখ্যা আরও প্রায় দেড় লাখ। রেশনের চাল-গম পাচ্ছেন প্রায় ২৫ লাখ মানুষ। বাকি তিন লাখ মানুষ এই সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।
জেলা তৃণমূল সভাপতি কৃষ্ণকুমার কল্যাণী রেশন নিয়ে গাফিলতির কথা স্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, কিছু কিছু জায়গায় অনেকের ডিজিটাল কার্ড নেই এবং কুপনও পাননি। এ বিষয়ে প্রশাসনকে খতিয়ে দেখতে বলেছি।