অযোধ্যায় তিন লাখ প্রদীপে দীপোৎসব নাম তুলল গিনেস বুকে, নয়া পালক যোগীর মুকুটে
লখনউ: মঙ্গলবার অযোধ্যার সরযূ নদীর তীরে দীপাবলি উৎসবে দক্ষিণ কোরিয়ার ফার্স্ট লেডি কিম-জং সুকের সামনেই ফৈজাবাদ জেলার নাম বদলে অযোধ্যা ঘোষণা করেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। এরপরে একসঙ্গে সন্ধ্যা আরতি করেন যোগী ও সুক। সঙ্গে ছিলেন দুই দেশের প্রতিনিধিরা। তারপরে অযোধ্যায় দীপোৎসব হয়। একসঙ্গে তিন লাখ এক হাজার একশো বাহান্নটি মাটির প্রদীপ সরযূ নদীর তীরে প্রজ্জ্বলন করা হয়। যা একটি বিশ্ব রেকর্ড হিসাবে গিনেস বুকে নথিভুক্ত করা হয়েছে।
কথিত আছে, ১৪ বছরের বনবাস কাটিয়ে রাম-সীতা এবং লক্ষ্মণ পুষ্পক রথে ফিরেছিলেন অযোধ্যায়। তাঁদের স্বাগত জানাতে অযোধ্যায় অজস্র ‘প্রদীপ’ জ্বালিয়েছিলেন প্রজারা। যোগী সরকারের দাবি, সেই ঐতিহ্য মেনেই অযোধ্যায় দীপাবলির আয়োজন। রাম-সীতাকে অভ্যর্থনা জানাতে অযোধ্যায় এদিন জ্বালানো হয় ৩,০১,১৫২টি মাটির প্রদীপ মাটির প্রদীপ। সাজানো হয় অজস্র মন্দির।
Ayodhya Deepostav 2018 enters Guinness Book of Record for lighting 3,01,152 earthen lamps, on the bank of River Sarayu. pic.twitter.com/HVZmKM63CU
— ANI UP (@ANINewsUP) 6 November 2018
দীপোৎসবের আগে যোগী আদিত্যনাথ বলেন, ভারতীয় সংষ্কৃতিতে অতিথিদের ভগবানরূপে তুলনা করা হয়। এটাই আমাদের সংষ্কার। সেই সংষ্কারের পথ থেকে তিনি যে সরবেন না, তা স্পষ্ট করে দিয়েছেন তিনি। আদিত্যনাথ বলেন, আমাদের অস্তিত্বের প্রতীক অযোধ্যা। এর পরিচয় ভগবান শ্রী রাম চন্দ্রের থেকে। তাই আজ থেকে ফৈজাবাদের নাম বদলে অযোধ্যা করা হল। এর পাশাপাশি অযোধ্যায় রাজা দশরথের নামে একটি মেডিক্যাল কলেজের ঘোষণাও করেন যোগী। এছাড়া শ্রী রামের নামে বিমানবন্দরও হবে বলে ঘোষণা করেন তিনি।