Sunday, June 22, 2025
Latestরাজ্য​

কামদুনি ধর্ষকদেরও এনকাউন্টারে খতম করা হোক, দাবি নির্যাতিতার মায়ের

কলকাতা: হায়দরাবাদ তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ ও পুড়িয়ে খুনের ঘটনায় অভিযুক্তদের এনকাউন্টারের ঘটনায় তোলপাড় গোটা দেশ। ঠিক তখনই পশ্চিমবঙ্গের মানুষের হয়তো মনে পড়ে যাচ্ছে কামদুনি গণধর্ষণ ও হত্যাকান্ডের কথা। যে ঘটনার এতো বছর পরেও আদালতে বিচারাধীন, তাই এখনও দিব্যি বেঁচে আছে অভিযুক্তরা।

কলকাতা থেকে প্রায় ৫০ কিলোমিটার দূরে উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বারাসতের কাছে কামদুনি গ্রামে এক কলেজ ছাত্রীকে গণধর্ষণ করে নৃশংসভাবে খুন করা হয়েছিল। এই ঘটনায় নিম্ন আদালত অভিযুক্তদের দোষী সাব্যস্ত করে সইফুল আলী, আনসার আলী ও আমিনুল আলীকে মৃত্যুদণ্ড এবং ইমানুল ইসলাম, আমিনুল ইসলাম ও ভোলা নস্করকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দেয়। তবে নিম্ন আদালতের সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় অভিযুক্তদের পরিবার। তারপর সেই ২০১৬ সাল থেকে কলকাতা হাইকোর্টে এখনও বিচারাধীন অবস্থায় রয়েছে এই মামলা।

২০১৩ সালে ২১ বছর বয়সী ওই তরুণীকে গণধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় গোটা রাজ্যে সাড়া পড়ে যায়, প্রতিবাদ বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে ওঠে বাংলা। হায়দরাবাদে ধর্ষণ ও খুনে অভিযুক্ত ৪ জনকে এনকাউন্টারের ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় কামদুনির নির্যাতিতা মা চন্দনা ঘোষের দাবি, কামদুনি অভিযুক্তদেরও এনকাউন্টার করে মারা হোক। এই সাজা দেওয়া হলেই মেয়ের আত্মা শান্তি পাবে।

নির্যাতিতার দাদা সন্দীপ ঘোষেরও একই দাবি। তাঁর প্রশ্ন হায়দরাবাদ পারলে বাংলা পারবে না কেন? ২০১৩ সালে কামদুনি গ্রামের নির্জন রাস্তা দিয়ে বাড়ি ফেরার সময় বিএ দ্বিতীয় বর্ষের ওই ছাত্রীকে জোর করে একটি খামারে টেনে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণ করে। ওই ছাত্রীকে গণধর্ষণ করে খুন করা হয় এবং পরদিন সকালে ওই খামারে তাঁর বিকৃত মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।

শুক্রবার এনকাউন্টারের ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় কামদুনি আন্দোলনের অন্যতম মুখ মৌসুমী কয়াল প্রশ্ন তোলেন, প্রত্যেক ধর্ষিতার ন্যায় বিচারের জন্যই কী আন্দোলন-প্রতিবাদ-আবেদন-নিবেদন করতে হবে? মানুষের জন্যই সরকার, কিন্তু ন্যায়বিচার পেতে এত সময় লাগবে কেন?