দুর্গাপূজার প্রতিমা ভাংচুর রুখতে বাংলাদেশে পালা করে চলছে প্রতিমা পাহারা
ঢাকা: বাংলাদেশের ১১টি জেলায় ১৩টি মন্দিরে দুর্গাপ্রতিমা ভাংচুরের অভিযোগ উঠেছে। যার জেরে একাধিক জায়গায় পালা করে প্রতিমা পাহারা দেওয়া হচ্ছে। মূর্তি ভাংচুরের ঘটনায় জড়িতদের চিহ্নিত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার নজির বাংলাদেশের তেমন নেই। তাই পুজো আয়োজকরা নিজস্ব উদ্যোগে প্রতিমা পাহারা দিচ্ছেন।
দুর্গাপ্রতিমা ভাংচুরের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ। তাঁরা বলেছেন, এসব হামলার ঘটনায় জড়িতদের চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার নজির খুবই কম। আর সেকারণে প্রতিবছরই দেশের বিভিন্ন প্রান্তে প্রতিমা ভাংচুরের ঘটেই চলেছে।
বাংলাদেশের গাজীপুর শহর থেকে প্রায় ২১ কিলোমিটার দূরে ভাওয়ালগড় ইউনিয়নে মনিপুরী উত্তরপাড়া গ্রামের একটি মন্দিরে প্রতিমা ভাংচুর করা হয়েছে। হামলার পর পর সেখানকার হিন্দুদের মধ্যে ভয় তৈরি হলেও তারা নতুন করে প্রতিমা বানিয়ে পূজার প্রস্তুতি নিয়েছেন। গ্রামবাসীরা বলছেন, সেখানে এই প্রথমবারের মতো প্রতিমা ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে।
পিংকী দেবনাথ বলেছেন, এই ঘটনা তাদের মাঝে আতংক সৃষ্টি করেছিল। তবে সেই ভয় কাটিয়ে তাঁরা আবার প্রতিমা তৈরি করেছেন। তিনি জানান, দুর্গাপূজা শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাঁরা পালা করে প্রতিমা পাহারা দিচ্ছেন যা তাঁরা আগে কখনও করেননি।
এই মন্দির কমিটির সদস্য সুজন চন্দ্র শীল বলেন, প্রতিমাগুলোর মাথা ভেঙে ফেলা হয়েছিল এবং কয়েকটি ভেঙে মাটিতে ফেলে রাখা হয়েছিল। গ্রামটিতে মসজিদ এবং মন্দিরের মাঝেও দূরত্ব বেশি নয়। সেখানে বসবাসকারী প্রায় ১৫০ হিন্দু পরিবার এবং ৪০০-‘র মতো মুসলিম পরিবারের মধ্যে কখনও দ্বন্দ্ব হয়নি বলে স্থানীয় লোকজন বলেছেন।