Friday, March 29, 2024
আন্তর্জাতিক

হিজাব পরায় চাকরি হারালেন কানাডার স্কুল শিক্ষিকা

কলকাতা ট্রিবিউন ডেস্ক: স্কুলে ‘হিজাব’ পরার চাকরি থেকে সরিয়ে দেওয়া হল কানাডার কুইবেকে এক স্কুল শিক্ষিকাকে। এই ঘটনার প্রতিবাদে সমালোচনার ঝড় বইছে। প্রাদেশিক আইন অনুযায়ী, সরকারি কাজ করার সময় ধর্মীয় প্রতীক এবং পোশাক পরা যাবে না।

২০১৯ সালের জুনে কুইবেক প্রদেশ বিলটি আইনে পাস করেছে। পাবলিক স্কুলের শিক্ষকরা এই আইনের আওতায় রয়েছে।

বিল ২১ অনুযায়ী, সরকারি কর্মকর্তারা- পুলিশ, অ্যাটর্নি, বিচারক, বাস ড্রাইভার, ডাক্তার, সমাজকর্মী এবং শিক্ষকরা পাগড়ি, ক্রস, টুপি এবং হিজাবের মতো ধর্মীয় প্রতীক পরা নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

ফাতেমা আনোয়ারী নামে ওই স্কুল শিক্ষিকা কুইবেকের চেলসি এলেমেন্টারি স্কুলের তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষিকা। ওই স্কুলের স্থায়ী পদে যোগ দেওয়ার মাত্র এক মাসের মধ্যেই তাকে সরিয়ে দেওয়া হলো। হিজাব পরার কারণেই তাকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে খবর। তাকে ওই স্কুলের অন্য বিভাগে কাজ দেওয়া হয়েছে।

আনোয়ারীকে বরখাস্ত করার ওই স্কুলে বিক্ষোভ দেখায় ছাত্র, অভিভাবক এবং কর্মীরা। সবুজ ফিতা পরে তার সমর্থনে প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন করে। ফেডারেল সাংসদরা আনোয়ারীকে সরিয়ে দেওয়ার ঘটনায় অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন৷

এই ঘটনা প্রসঙ্গে আনোয়ারী বলেন, ওই মুহূর্তে আমি হতভম্ব হয়ে গিয়েছিলাম। এটা মানতে খুব কষ্ট হচ্ছিল।
ন্যাশনাল কাউন্সিল অব কানাডিয়ান মুসলিমস (এনসিসিএম) এর তথ্য অনুসারে, আমেরিকার  টুইন টাওয়ারে হামলার পর থেকে কানাডার মুসলিমরা ইসলাম বিরোধী মনোভাবের শিকার হচ্ছেন। টুইন টাওয়ারে হামলার পর থেকে কানাডায় মুসলিমদের ওপর হামলার ঘটনাও বেড়েছে।

সোমবার কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো বলেন, ধর্মীয় বিশ্বাসের কারণে কারও চাকরি হারানো উচিত নয়। তবে এ বিষয়ে তিনি হস্তক্ষেপ করবেন না। কারণ তিনি কুইবেক এবং ফেডারেল সরকারের মধ্যে উত্তেজনা বাড়াতে চান না।