Wednesday, April 24, 2024
সম্পাদকীয়

ষষ্ঠী পুজোর ইতিকথা

কলকাতা ট্রিবিউন ডেস্ক: স্বায়ম্ভুব মনুর সর্বদা তপস্যাপরায়ণ যোগীন্দ্র পুত্র হলেন প্রিয়ব্রত। তিনি বিবাহ না করে সর্বদা ঈশ্বরের সাধনায় মগ্ন থাকতে চেয়েছেন।কিন্তু পরবর্তীতে সৃষ্টির রক্ষার্থে পিতামহ ব্রহ্মার আজ্ঞায় তিনি বিবাহ করেন।বিবাহের বহুদিন পরেও তার কোন পুত্র সন্তান লাভ হয় না। পুত্রের কামনায় তিনি কশ্যপ মুনিকে দিয়ে পুত্রেষ্টি যজ্ঞ সম্পন্ন করলেন। যজ্ঞশেষে কশ্যপমুনি প্রিয়ব্রত রাজাকে একবাটি যজ্ঞের চরু প্রদান করেন। রাজা পুত্র কামনায় সেই চরু রাজমহিষীকে প্রদান করেন । রাজমহিষী যজ্ঞের সেই চরু খেয়ে গর্ভ ধারণ করলেন। রাজমহিষী কনককান্তি সম্পন্ন অপূর্ব সৌন্দর্যমণ্ডিত মৃত সন্তান প্রসব করলেন। বন্ধুবান্ধব পত্নী প্রভৃতি স্ত্রী সকলেই সেই মৃতবালককে দেখে কান্নাকাটি করতে লাগলেন।মহারাণী অপূর্ব সৌন্দর্যমণ্ডিত মৃত পুত্রকে দর্শন করে শোকে মূর্চ্ছা গেলেন। রাজা মৃতপুত্রকে কোলে করে নিয়ে অন্তেষ্টিক্রিয়া করতে শ্মশানে গমন করলেন। তিনি পুত্রকে বুকে জড়িয়ে ধরে গহন বনে কান্না করতে লাগলেন। রাজা মৃত পুত্রকে কোন প্রকারে ত্যাগ না করে, মনে আত্মহত্যার চিন্তা শুরু করে দিলেন। তিনি পুত্রশোকে সকল দিব্যজ্ঞান বিস্মৃত হয়ে গেলেন।

ইতিমধ্যে সেই গহন কাননে মহারাজ প্রিয়ব্রত শুভ্র স্ফটিক বর্ণের বহুমূল্য রত্নরাজিবিরাজিত, তেজঃপুঞ্জে সর্বদা জাজ্বল্যমান শ্বেতবস্ত্রে শোভিত নানাপ্রকার চিত্রে বিচিত্রিত এবং পুষ্পমাল্য দ্বারা অলঙ্কৃত এক বিমান দর্শন করলেন। রাজা সেই রথমধ্যে কমনীয়া মনোহারিণী শ্বেতচম্পকের ন্যায় শুভ্রবর্ণা, নিরন্তর স্থিরযৌবনা, মন্দ মন্দ হাস্য হেতু প্রসন্নবদনারবিন্দা, বিবিধ রত্নভূষণে ভূষিতা, দয়াময়ী যোগসিদ্ধা ভক্তানুগ্রহ-পরায়ণা, দেবীকে দর্শন করলেন। মৃত সন্তানকে ভূমিতে রেখে তিনি দেবীর সম্মুখে দণ্ডায়মান হয়ে পরমাদরে দেবীর স্তব করতে শুরু করলেন। সাধ্যমত উপাচারে দেবীর পূজা করলেন। গ্রীষ্মকালীন সূর্যের মত তেজোরাশিসমুজ্জ্বল স্কন্দপ্রিয়া দেবীকে জিজ্ঞাসা করলেন:

 

কা তৃং সুশোভনে কান্তে কস্য কান্তাসি সুব্রতে।

কস্য কন্যা বরারোহে ধন্যা মান্যা চ যোষিতাম্ ॥

নৃপেন্দ্রস্য বচঃ শ্ৰুত্বা জগন্মঙ্গলচণ্ডিকা।

উবাচ দেবসেনা সা দেবানাং রণকারিণী।।

দেবানাং দৈত্যগ্ৰস্তানাং পুরা সেনা বভূব সা।

জয়ং দদৌ সা তেভ্যশ্চ দেবসেনা চ তেন সা।।

(দেবীভাগবত: নবমস্কন্ধ, ৪৬.২২-২৪)

 

“হে বরারোহে। আপনি কি নিমিত্ত এ স্থানে উপস্থিতা হয়েছেন? হে সুব্রতে! সুশোভনে! আপনি কাঁর কামিনী এবং স্ত্রীগণের মধ্যে ধন্যা মান্যা আপনি কাঁর ঔরসজাতা কন্যা?

দেবগণের জন্য রণকারিণী-সেই দেবসেনা মঙ্গলচণ্ডিকা দৈত্যগণের বাহুবলে পীড়িত দেবগণের সেনা হয়ে তাঁদের বিজয়সাধন করে দেবসেনা নামে খ্যাত হয়েছেন।”

রাজা প্রিয়ব্রতের প্রশ্ন শুনে দেবী বললেন, “হে পৃথিবীপতে। আমি ব্রহ্মার মন হতে উৎপন্না ঈশ্বররূপিণী দেবসেনা। বিধাতা আমাকে মন হতে সৃষ্টি করে কার্তিককে সম্প্রদান করেছেন। আমি ষোড়শমাতৃকা মধ্যে স্কন্দপত্নী সুব্রতা দেবসেনা নামে মাতৃকা। জগতে ষষ্ঠী নামেও আমি বিখ্যাতা। আমি পুত্রহীন মনুষ্যকে পুত্র প্রদান করি। প্রিয়বিহীন ব্যক্তিকে প্রিয় আকাঙ্ক্ষিত বিষয় দান করি। দরিদ্রকে ধন এবং কৰ্মহীন ব্যক্তিকে শুভ কৰ্ম প্রদান করি। কর্মের ফলাফল হিসেবে জীবগণ— সুখ, দুঃখ, ভয়, শোক, হর্ষ, মঙ্গল, সম্পদ বিপদ্ প্রভৃতি অনুভব করে। কৰ্মদোষে বহুপুত্রগণের পিতাও বংশহীন হয়। স্বীয় কৰ্মবশে লোক অতিশয় রূপবানও হয়। কৃত কর্মের ফলে মৃতপুত্র, কৰ্মবশে দীর্ঘজীবী পুত্র লাভ করে। কৰ্মবশে বহু ভাৰ্য্যাশালী ব্যক্তিও ভাৰ্য্যাহীন হয়। কৃত কর্মের ফলে গুণবান পুত্র লাভ করে এবং কৰ্মদোষে অঙ্গহীন পুত্রও লাভ করে। কৃত কর্মের ফলে মানুষ ব্যাধিগ্রস্থ হয়, আবার কৃত কর্মের ফলে পুনরায় আরোগ্য লাভ করে। হে রাজা! বেদে কর্মেরই প্রাধান্য বর্ণিত।”

দেবসেনা ষষ্ঠী দেবী রাজকে এই প্রকার সান্ত্বনা দিয়ে রাজার মৃত বালককে কোলে নিয়ে পুনরুজ্জীবিত করে দিলেন। রাজা আকাশপথে দেখলেন কনককান্তি সেই সদ্যোজাত কুমার হাসছে। সন্তানকে পুনরুজ্জীবিত করে দেবসেনা ষষ্ঠী দেবীও রাজার নিকট বিদায় নিয়ে গগনপথে গমনের উদ্যমে নিলেন। ভয়ে রাজার ওষ্ঠ, কণ্ঠ, তালু শুকিয়ে যাওয়ার উপক্রম হল। ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে তিনি পুনরায় দেবীর স্তব করতে শুরু করলেন।দেবী দেবসেনা রাজার স্তবে সন্তুষ্ট হয়ে বেদোক্ত কৰ্মকাণ্ড তাঁর নিকট বর্ণনা করলেন। দেবী বললেন, “হে স্বায়ম্ভুষ মনুপুত্র রাজন ! ত্রিলোকে তোমার আধিপত্য; অতএব স্বয়ং আমায় পূজা করত স্বীয় সাম্রাজ্যে ইহা প্রচার করতে থাক। এই সুব্রত নামক কুমার তোমার কুল-কমঙ্গ-স্বরূপ মনোহর গুণবান্ ও পণ্ডিত হবে। এই পুত্র জাতিস্মর, যোগিগণের প্রধান নারায়ণের অংশ-স্বরূপ, ব্রতাবলম্বী এবং যজ্ঞ করে ক্ষত্রিয়গণের বন্দনীয় হবে। মঙ্গলাধার মহাবলশালী সুব্রত, একাই লক্ষ মত্ত হাতির বল শরীরে ধারণ করবে। মঙ্গলময় ধনুর্দ্ধারী, গুণবান, পবিত্র পণ্ডিতগণের প্রিয়পাত্র, যোগী, জ্ঞানী, এবং তপস্বিগণের সিদ্ধিস্বরূপ এবং যশস্বী—এই পুত্র দান করে সকল সম্পত্তি শেষ করে জগতের কল্যাণ করবে।”

এ বাক্য বলে দেবী রাজাকে সেই পুত্র প্রদান করলেন । রাজাও তাঁর পুজাপ্রচারে অঙ্গীকার করলেন। দেবী দেবসনা ষষ্ঠী রাজার সম্মুখ থেকে অন্তর্হিত হলেন। জগতে এভাবেই দেবী ষষ্ঠীর পূজা প্রচলিত হল। রাজা প্রিয়ব্রত আনন্দিতচিত্তে নিজ প্রাসাদে গমন করলেন তিনি সবাইকে মৃত পুত্রের পুনরুজ্জীবিত হওয়ার বৃত্তান্ত সবাইকে বর্ণনা করলেন। প্রাসাদের রমণীগণ সেই বৃত্তান্ত শ্রবণ করে পুত্রের কল্যাণের জন্য ষষ্ঠী দেবীর পূজা করলেন। বেদজ্ঞ ব্রাহ্মণগণকে বিবিধ প্রকারের দ্রব্যাদি দান করলেন। এভাবে রাজা প্রিয়ব্রত প্রতি মাসের শুক্লপক্ষীয় ষষ্ঠী তিথিতে মহোৎসব সহকারে নগরে ষষ্ঠীদেবীর পূজা শুরু করলেন।ভূমিষ্ঠ বালকগণের কল্যাণকামনায় ষষ্ঠ এবং একবিংশ দিনে যত্নপূর্বক ষষ্ঠীদেবীর পূজা করতে আদেশ করলেন। বালকগণের শুভকর কার্য্যে এবং শুভান্নপ্রাশন প্রভৃতি উপলক্ষে সর্বত্র ষষ্ঠী পূজার আদেশ করলেন। নিজেও স্বয়ং অত্যন্ত শ্রদ্ধার সাথে দেবীর পূজা করতে লাগলেন। শালগ্রামশিলায়, ঘটে, বটবৃক্ষের মূলে কিংবা ভিত্তিতে পুত্তলিকা চিত্রিত করে ষষ্ঠী দেবীর পূজা করতে হয়। প্রকৃতির ষষ্ঠাংশরূপিণী, পবিত্রা, সুপ্রতিষ্ঠা, অনন্তপ্রভাযুক্ত, সুপুত্রদায়িনী, শুভদায়িনী, দয়াময়ী, জগজ্জননী, শ্বেতচম্পকবর্ণা, রত্নভূষণে বিভূষিতা এবং পরম পবিত্রা দেবী দেবসেনার উপাসনা করি—বিজ্ঞ ব্যক্তি এই প্রকারে ধ্যান করে নিজ মস্তকে পূষ্প প্রদান করবে এবং পুনরায় ধ্যান করে মূলমন্ত্র উচ্চারণপূর্বক পাদ্য, অর্ঘ্য, আচমনীয়, গন্ধ, পুষ্প, দীপ, নানাপ্রকার নৈবেদ্য এবং সুস্বাদু ফল দ্বারা দেবী ষষ্ঠীর পূজা করতে হয়। মনুষ্য, “ওঁ হ্রীং ষষ্ঠীদেব্যৈ স্বাহা” এই অষ্টাক্ষর মহামূলমন্ত্র যথাশক্তি জপ করবে। এরপরে ধন, পুত্র এবং সর্বসিদ্ধিদায়ী সাম-বেদোক্ত স্তোত্রে স্তব করে শুদ্ধচিত্তে ভক্তিপূর্বক স্তব করতে হবে। দেবীর এই প্রধান অষ্টাক্ষর মহামন্ত্র—যে ব্যক্তি লক্ষবার জপ করে, নিশ্চয় সে সর্বগুণান্বিত পুত্রের পিতা হয়। দেবীভাগবতে রাজা প্রিয়ব্রত দেবীর একটি অনন্য স্তোত্র করেন:

 

নমো দেব্যৈ মহাদেব্যৈ সিদ্ধ্যৈ শান্ত্যৈ নমো নমঃ।

শুভায়ৈ দেবসেনায়ৈ ষষ্ঠ্যৈ দেব্যৈ নমো নমঃ ॥

বরদায়ৈ পুত্রদায়ৈ ধনদায়ৈ নমো নমঃ ॥

সুখদায়ৈ মোক্ষদায়ৈ ষষ্ঠ্যৈ দেব্যৈ নমো নমঃ।

সৃষ্টেঃ ষষ্ঠাংশরূপায়ৈ সিদ্ধায়ৈ চ নমো নমঃ ॥

মায়ায়ৈ সিদ্ধযোগিন্যৈ ষষ্ঠীদেব্যৈ নমো নমঃ।

সারায়ৈ শারদায়ৈ চ পরাদেব্যৈ নমো নমঃ ॥

বালাধিষ্ঠাতৃদেব্যৈ চ ষষ্ঠীদেব্যৈ নমো নমঃ ।

কল্যাণদায়ৈ কল্যাণ্যৈ ফলদায়ৈ চ কৰ্মণাম্ ॥

প্রত্যক্ষায়ৈ স্বভক্তানাং ষষ্ঠ্যৈ দেব্যৈ নমো নমঃ ৷

পূজ্যায়ৈ স্কন্দকান্তায়ৈ সর্বেষাং সর্বকৰ্ম সু ॥

দেবরক্ষণকারিণ্যৈ ষষ্ঠীদেব্যৈ নমো নমঃ ।

শুদ্ধসত্ত্বস্বরূপায়ৈ বন্দিতায়ৈ নৃণাং সদা ॥

হিংসাক্রোধ-বজ্জিতায়ৈ ষষ্ঠীদেব্যৈ নমো নমঃ।

ধনং দেহি প্রিয়াং দেহি পুত্রং দেহি সুরেশ্বরি ॥

মানং দেহি জয়ং দেহি দ্বিষো জহি মহেশ্বরি ।

ধর্মং দেহি যশো দেহি ষষ্ঠীদেব্যৈ নমো নমঃ॥

দেহি ভূমিং প্রজাং দেহি বিদ্যাং দেহি সুপূজিতে ৷

কল্যাণঞ্চ জয়ং দেহি ষষ্ঠীদেব্যৈ নমো নমঃ।।

(দেবীভাগবত: নবমস্কন্ধ, ৪৬.৫৮-৬৭)

 

“হে মহাদেবী ! দেবদেবি ! ষষ্ঠীদেবি! তুমি সকল কার্য্যের সিদ্ধিবিধায়িনী, শান্তিরূপিণী, তোমাকে নমস্কার করি। তুমি সর্বশুভদায়িনী তোমার বরে অপুত্রক ব্যক্তিও গুণবান্ পূত্র লাভ করে। তোমার অনুগ্রহে ধন, সুখ ও মোক্ষ লাভ হয়। হে ষষ্ঠীদেবি ! অতএব তোমাকে প্রণাম করি। হে ষষ্ঠীদেবি ! তুমি প্রকৃতির ষষ্টাংশরূপিণী ; হে সিদ্ধে। তুমি নিজমায়াবলে সকলের কার্য্য সাধন কর। হে যোগিনি ! তোমাকে নমস্কার । হে সর্বকর্মসাধিকে! তুমি জগতের সারস্বরূপিণী হয়ে সারবস্ত প্রদান কর। অতএব হে ষষ্ঠীদেবি! তুমি বালকগণের অধিষ্ঠাত্রীদেবতা, তোমাকে নমস্কার করি। হে কল্যাণদায়িনি ! তুমি কল্যাণকর কৰ্মসসূহের ফলদায়িনী । হে ষষ্ঠীদেবি ! তুমি বালকদিগের বিঘ্ন বিনাশ কর, তোমাকে প্রণাম করছি। হে কার্তিককান্তে ! তুমি কর্মিগণের সকল কর্মেই পূজনীয়া এবং ভক্তগণের প্রত্যক্ষদর্শনদায়িনী। হে ষষ্ঠীদেবি ! তুমি দেবতাগণের রক্ষাকারিণী, তোমাকে নমস্কার। হে শুদ্ধসত্ত্বস্বরূপিণি। হে ষষ্ঠীদেবি ! মনুষ্যগণ তোমার সদা বন্দনা করে। আমিও ভক্তিপূর্বক তোমাকে প্রণাম করছি। হে দেবদেবি ষষ্ঠীদেবি । হিংসা, ক্রোধ প্রভৃতি কুৎসিত ধৰ্ম তোমাকে স্পর্শও করতে পারে না। তোমার চরণে ভক্তিপূৰ্বক প্ৰণত আমি । আমাকে ধন, প্রিয়া, পুত্র, ধৰ্ম, যশ দান কর। হে ষষ্ঠীদেবি ! তোমাকে নমস্কার করছি । হে পূজ্যে ! আমাকে রাজ্য, প্রজা এবং বিদ্যা প্রদান কর। হে ষষ্ঠীদেবি ! আমাকে কল্যাণ এবং জয় দান করুন, আপনাকে নমস্কার করি।”

দেবী ষষ্ঠীই কার্তিকের শক্তিস্বরূপা সুব্রতা দেবসেনা কৌমারী। এই দেবসেনা কৌমারীকে অসুরবিনাশিনী রূপে শ্রীচণ্ডীর উত্তরচরিত্রে দেখা যায়। দেবী ময়ূরবাহনা হয়ে রক্তবীজ বধে উদ্যত হন। তিনি এক অচিন্ত্য, অনন্ত ব্রহ্মাণ্ডের আদিশক্তি। আবার তিনিই ব্রহ্মাণী আদি অষ্ট মাতৃকারূপে অষ্ট মূর্তিতে বিরাজিতা।

 

কৌমারী শক্তিহস্তা চ ময়ূরবরবাহনা ।

যোদ্ধুমভ্যাযযৌ দৈত্যানম্বিকা গুহরূপিণী ॥

(শ্রীচণ্ডী:৮.১৭)

“কার্তিকেয়রূপিণী দেবী কৌমারী শ্রেষ্ঠ ময়ূরে আরোহণপূর্বক শক্তি নামক অস্ত্র হাতে নিয়ে দৈত্যগণের সাথে যুদ্ধ করতে আসলেন।”

কুশল বরণ চক্রবর্ত্তী, সহকারী অধ্যাপক, সংস্কৃত বিভাগ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়