Friday, April 26, 2024
দেশ

কালীঘাটের ইতিবৃত্ত

সত্যযুগে দক্ষ প্রজাপতি নিজ গৃহে মহাযজ্ঞের আয়োজন করেন। দক্ষ প্রজাপতি ভগবান শিবকে সহ্য করতে পারতেন না। তিনি যজ্ঞানুষ্ঠানে সমস্ত দেবতাগন, ঋষি, গান্ধর্ব, যক্ষ, কিন্নর, অসুর, নাগ, অপ্সরা, নবগ্রহ, সপ্তর্ষি এমনকি ব্রহ্মা, বিষ্ণুকেও নিমন্ত্রন করেন। শুধুমাএ আমন্ত্রন করেননি নিজ কন্যা সতী ও জামাতা শিবকে। মূর্খ দক্ষ প্রজাপতিকে ভগবান নারায়ন অনেক বোঝালেও তার কথায় গুরুত্ব দেয়নি। সতী বিনা নিমন্ত্রনে যজ্ঞানুষ্ঠানে আসলে তার সামনেই যক্ষ শিবের নিন্দা করেন। পতিনিন্দা সহ্য করতে না পেরে তখনই যজ্ঞকুন্ডে জীবন বিসর্জন দেন সতী। তখন শিব ক্রুদ্ধ হয়ে সতীর মৃতদেহ কাধে নিয়ে বিশ্বব্রক্ষ্মান্ড ধ্বংস করার উদ্দেশ্যে তাণ্ডবনৃত্য শুরু করেন। তাঁকে শান্ত করতে বিষ্ণু আপন সুদর্শন চক্র দিয়ে সতীর দেহ খণ্ডবিখণ্ড করে দেন। সতীর খণ্ডবিখণ্ড দেহের টুকরোগুলি পৃথিবীর নানা স্থানে পতিত হয়েছিল। পৃথিবীতে পড়ামাত্রই এগুলি প্রস্তরখণ্ডে পরিণত হয়। পীঠমালা তন্ত্র অনুযায়ী, সতীর ডান পায়ের চারটি আঙুল পড়েছিল কালীঘাটে। বর্তমান কালীঘাট মন্দির সংলগ্ন জমিটির আয়তনের পরিমান এক বিঘা এগার কাটা তিন ছটাক। বাংলা আটচালা স্থাপত্য শৈলিতে তৈরী মূল মন্দিরের আয়তন আট কাটা। মূল মন্দিরের পাশে ছোট ছোট মন্দিরে শিব, রাধাকৃষ্ণ প্রভৃতি দেবদেবীর পূজা অর্চনা করা হয়। কালীঘাট মন্দির কলকাতার একটি প্রসিদ্ধ কালীমন্দির এবং একান্ন শক্তিপীঠের অন্যতম হিন্দু তীর্থক্ষেত্র।