Monday, November 17, 2025
জীবনযাপন

এক নজরে ভাইফোঁটার ইতিবৃত্ত

কলকাতা: কার্তিক মাসের শুক্লপক্ষের দ্বিতীয়া তিথিতে, কালীপুজোর এক দিন পরে ভাইফোঁটা পালিত হয়। এটি ভ্রাতৃদ্বিতীয়া নামেও পরিচিত। গোয়া, মহারাষ্ট্র ও কর্ণাটকে এটি ‘ভাইবিজ’ নামে পরিচিত। ভারতের পশ্চিমাংশে এটি ‘ভাই দুজ’ নামে পালিত হয়।

ভাই-বোনের অটুট বন্ধনের কামনায় পবিত্র এই উৎসব পালিত হয়। হিন্দু পঞ্জিকা অনুসারে, কার্তিক মাসের শুক্লপক্ষের দ্বিতীয় দিনে ভাইফোঁটা দেওয়া হয়। তবে তিথির উপর নির্ভর করে মাঝে মধ্যে এটি শুক্লপক্ষের প্রথম দিনেও উদযাপিত হয়। আবার অনেকের বাড়িতে প্রতিপদের দিনও পালিত হয় ভাইফোঁটা।

পশ্চিম ভারতে পাঁচ-দিনব্যাপী দীপাবলি উৎসবের শেষদিন ভ্রাতৃদ্বিতীয়া উদযাপন করা হয়। পশ্চিমবঙ্গের দার্জিলিং পার্বত্য অঞ্চলে ও নেপালে এটি ভাইটিকা নামে পরিচিত।‌ বিজয়া দশমীর পর এটিই সবচেয়ে বড় উৎসব সেখানে।

ভাইফোঁটাকে আবার যমদ্বিতীয়াও বলে। কথিত আছে, এই দিন মৃত্যুর দেবতা যম, তার বোন যমুনার হাতে ফোঁটা নিয়েছিলেন। আবার শোনা যায়, নরকাসুর নামে এক দৈত্যকে বধ করার পরে সুভদ্রা কৃষ্ণের কপালে ফোঁটা দিয়ে তাকে মিষ্টি খেতে দেন। সেই থেকেই ভাইফোঁটা উৎসবের প্রচলন হয়।