Monday, November 17, 2025
রাজ্য​

বিজেপিকে ভয় পাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী, তাই নবান্ন চলো অভিযানে‌ বিনা প্ররোচনায় জলকামান চালালো পুলিশ:‌ দিলীপ ঘোষ

কলকাতা: বিজেপির নবান্ন চলে কর্মসূচিকে ঘিরে দিনভর ধুন্ধুমার কান্ড। মিছিলে চলে লাঠিচার্জ, কাঁদানে গ্যাস, ধস্তাধস্তি। বিজেপির সদর দফতর থেকে মিছিলের নেতৃত্ব দেন দলের রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। মিছিলটি হাওড়া ব্রিজের সামনেই আটকে দেওয়া হয়। মিছিল আটকে দেওয়ার পর এই মিছিল থেকে সেরকম কোনও প্রতিরোধ করা হয়নি। তাই কার্যত শান্তিপূর্ণভাবেই এই মিছিল শেষ হয়।

দিলীপ ঘোষ বলেন, রাজ্যের অগণতান্ত্রিক পরিবেশের বিরুদ্ধে শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ দেখিয়েছেন তাঁরা। মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীর লকডাউন করার অভ্যাস আছে। গোটা পশ্চিমবঙ্গ ধর্মঘটের পরিস্থিতি নিয়েছে। কলকাতাকে সারা ভারত থেকে বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়েছে। হলদিয়া থেকে বর্ধমান- পুলিশ আটকাচ্ছে।

দিলীপ ঘোষ বলেন, আমাদের কাছে এটা অভাবনীয় নয়। গ্রামেগঞ্জে বিজেপি কর্মীদের ভুয়ো মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়া হচ্ছে, মারধর করা হচ্ছে। বিজেপি কর্মীকে খুন করা হচ্ছে। ঘটনার তদন্ত হচ্ছে না। পুলিশ বলছে, সবই আত্মহত্যার ঘটনা। অগণতান্ত্রিক পরিবেশ তৈরি হয়েছে, স্বেচ্ছাচারী সরকার চলছে। এসবের বিরুদ্ধে আন্দোলন করলেই আমাদের উপর আক্রমণ করা হচ্ছে।

দিলীপ ঘোষের অভিযোগ, হাওড়া ব্রিজে ব্যারিকেড ছিল। আমরা বড়বাজারে দাঁড়িয়ে শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ করছিলাম, বক্তৃতা দেওয়া হচ্ছিল। পুলিশ বিনা প্ররোচনায় আমাদের ওপর জলকামান চালিয়েছে। হঠাৎ পুলিশ আমাদের কর্মী–সমর্থকদের ওপর ঝাপিয়ে পড়ে মারধর করতে শুরু করে। আমাদের কেন্দ্রীয় নেতা অরবিন্দ মেননও আহত হয়েছেন। মমতার তৃণমূল সরকার ভয় পেয়ে গেছে। এই রাজ্যে আইন–কানুন, সংবিধান কিছুই নেই। তৃণমূল, কংগ্রেস, সিপিএমকে কোনও মিছিলের জন্য অনুমতি নিতে হয় না। তাদের জন্য আইন, সংবিধান নেই। কেবল আমাদের জন্যই আইন। শুধু আমাদের মিছিলই আটকে দেওয়া হয়।