মুখ্যসচিব আলাপনকে দিল্লিতে বদলির নির্দেশ দিল প্রধানমন্ত্রীর দফতর
নয়াদিল্লি: ঘূর্ণিঝড় ইয়াস পরবর্তী ক্ষয়ক্ষতি পর্যালোচনা বৈঠকে অনুপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মুখ্যসচিব আলাপন বন্দোপাধ্যায় এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই ঘটনার কয়েক ঘন্টার মধ্যেই আলাপন বন্দোপাধ্যায়কে তলব করল কেন্দ্র। তাকে সোমবার সকালের মধ্যে দিল্লির নর্থ ব্লকে রিপোর্ট করতে বলা হয়েছে।
চিঠিতে ক্যাবিনেট কমিটি অফ অ্যাপয়ন্টমেন্ট আলাপন বন্দোপাধ্যায়ের কর্মস্থল বদলের কথা বলেছে। ভারতের অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ নিয়ম অনুযায়ী এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। কেন্দ্রের তরফে রাজ্য সরকারকে বলা হয়েছে, তারা যেন অবিলম্বে আলাপন বন্দোপাধ্যায়কে রিলিজ দেয়। সোমবার সকাল ১০ টার মধ্যে দিল্লির নর্থ ব্লকে কর্মীবর্গ মন্ত্রকে রিপোর্ট করবেন তিনি।
এদিকে, মমতার বৈঠকে না থাকা নিয়ে চরম অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা-মন্ত্রীরা। টুইট করে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল জগদীপ ধনকরও। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও মমতার ‘ঔদ্ধত্য’ নিয়ে টুইট করেছেন।
কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং অসন্তোষ প্রকাশ করে লিখেছেন, পশ্চিমবঙ্গে যা ঘটল, তা দুর্ভাগ্যজনক। প্রধানমন্ত্রী বা মুখ্যমন্ত্রী একক কোনও ব্যক্তি নন বরং প্রতিষ্ঠান। দু’জনই জনসেবার জন্য দায়বদ্ধ ও সংবিধান মেনে শপথ নিয়েছেন।
বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা বলেছেন, যখন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীজি ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের ক্ষতিগ্রস্ত বাংলার মানুষের পাশে দৃঢ়তার সঙ্গে দাঁড়িয়ে আছেন, তখন মমতাজির উচিত ছিল জনগণের কল্যাণার্থে নিজের অহংকারকে বিসর্জন দেওয়া। পর্যালোচনা বৈঠকে তাঁর অনুপস্থিতি হল সাংবিধানিক নীতি ও সমবায় মৈত্রীতন্ত্রের হত্যা।

গুরুদাস কলেজ থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতক এরপর যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। ডিজিটাল সাংবাদিকতার সঙ্গে জড়িত দীর্ঘ ৫ বছর ধরে।